দেশে করোনা ও ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের মাঝেও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না—এমন অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সরকার জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছে। করোনা ও ডেঙ্গুর মতো প্রাণঘাতী রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট। হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব চরমে উঠেছে।”
তিনি বলেন, “তৃণমূল পর্যায় থেকেই স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি। অথচ সরকার তা নিয়ে ন্যূনতম উদ্যোগও নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, আর সরকার কেবল মুখে আশ্বাস দিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে।”
রিজভী আরও বলেন, “এই সরকার জনস্বাস্থ্য রক্ষায় যেমন ব্যর্থ, তেমনি গণতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তবে আশার কথা, আগামী ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হতে যাচ্ছে।
এই বৈঠককে আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখছি—যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
তিনি দাবি করেন, “গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সরকার যতই বাধা দিক, জনগণের শক্তি কখনো দমানো যাবে না।”
সংবাদ সম্মেলনের শেষভাগে রিজভী দেশের জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি করেন, যাতে করোনা ও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।